আবদুল মামুন,সীতাকুণ্ড
মাছ চাষের পাশাপাশি সমন্বিত সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে উপকূলের কৃষক মোঃ রাশেদ আলী। বর্ষাকালে যে সব জমি পতিত থাকতো সে সব জমিতে উৎপাদন হচ্ছে বিভিন্ন জাতের সবজি। ফসলি জমি ছাড়া ঘেরের পাড় ও পতিত জমিতে চাষ করা হয়েছে শসা, মিষ্টি কুমড়া, উচ্ছে, বরবটি, লাউ, কাঁচামরিচ, টমেটো, ঢেঁঢ়সসহ নানা রকমের সবজি।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাকখালী মধ্যেরধারী এলাকার কৃষক মোঃ রাশেদ আলী দেশে চাকরি না পেয়ে জীবিকার তাগিদে ২০০৮ সালে প্রবাসে চলে যান। সেখানে সুবিধা করতে না পেরে পুনরায় দেশে চলে আসেন। দেশে এসে অনেক মানুষের মাছ ও সবজির সমন্বিত চাষ দেখে নিজে উদ্বুদ্ধ হন। এক পর্যায়ে তিনি মাছ ও সবজির সমন্বিত চাষ করার পরিকল্পনা করেন। একজনের কাছ থেকে ৭০ শতক জমি লিজ নিয়ে মাছ ও সবজির সমন্বিত চাষ শুরু করেন। প্রথম বছরেই তিনি সফলতার মুখ দেখেন। তার সফলতা দেখে পর্যায়ক্রমে অনেকেই এ পেশায় সম্পৃক্ত হন।
কৃষক মোঃ রাশেদ আলী বলেন, জীবিকার তাগিদে ২০০৮ সালে প্রবাসে চলে যায়। সেখানে কোন চাকরি না পেয়ে পুনরায় দেশে চলে এসে নিজ উদ্যোগে সমন্বিত কৃষি কাজ করব বলে মনস্থির করি। এরপর ৭০ শতক জমিতে মাছ ও সবজি চাষ শুরু করেছি। এখানে ঘেরের পাড়ে বরবটি, শসা, ধুন্দল, উচ্ছে, বেগুন, করল্লা, ঢেঁড়শ, সিম, লালশাক, পুঁইশাক, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, টমেটোসহ বিভিন্ন রকমের সবজি করেছি। আর ঘেরে মিঠা পানির মাছ তেলাপিয়া, রুই, গ্লাস কার্প, পাঙ্গাস, সরপুঁটি, টেংরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আছে। বছরে দেড় লক্ষাধিক টাকার মত খরচ করে দুই লাখ টাকা পাওয়া যায়। তবে বীজ, সার ও কিটনাশকের দাম বেশী হওয়ায় তেমন সুবিধা করতে পাচ্ছি না। সরকারীভাবে সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।
