আবদুল মামুন,সীতাকুণ্ড-
শিক্ষকের কণ্ঠস্বর: শিক্ষায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকার, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০২৪ পালন করা হয়েছে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১১টার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদের হল রুমে উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষক দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভা ও কৃতি শিক্ষকদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস মোস্তফা আলম সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম রহমান চৌধুরীসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।
আলোচনা সভায় বক্তৃতারা বলেন, শিক্ষকদের মান, মর্যাদা, এবং কাজের স্বীকৃতির জন্যই শিক্ষক দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য। শিক্ষকদের নিয়োগ, বেতন-ভাতা এবং কর্মপরিবেশ সম্পর্কে ইউনেস্কোর একটি সুপারিশ রয়েছে। তবে দুঃখজনকভাবে, আমাদের দেশে শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিদেশে শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন-ভাতা নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু বাংলাদেশে সেই সুবিধা নেই।
আমরা শিক্ষকেরা আমাদের শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি।আমরা যে পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তাতে বর্তমান সরকার শিক্ষকদের বিশেষ প্রাধান্য দিচ্ছে। সরকারের উপদেষ্টা পর্যায়েও আমাদের শিক্ষকদের ভূমিকা রয়েছে, যা আমাদের জন্য একটি ইতিবাচক সময় বলে মনে করি। যদি এ কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তবে ভবিষ্যতে দেশ উন্নতির পথে অগ্রসর হবে। অন্যথায়, আমরা অন্ধকারের দিকে ধাবিত হতে পারি।
সরকার পরিবর্তনের পর আমরা লক্ষ্য করেছি যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, যা আমরা মনে করি অত্যন্ত অনুচিত। শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ ছিল অধিক মাত্রায়। শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষার্থে একটি জাতীয় কর্মসূচি প্রণয়ন করা উচিত, যা আমাদের সামাজিক পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং একটি শক্তিশালী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। এর মাধ্যমে শিক্ষকদের মর্যাদা যেমন সুরক্ষিত হবে, তেমনি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষায় অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।
উক্ত অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত ১০ জন কৃতি শিক্ষককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
