হাতিয়ায় শিক্ষার্থীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা, থানায় মামলা হলে ও গ্রেফতার হননি কেউ

রাশেদুল ইসলাম
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ায় স্কুল ছাত্র আল নাহিয়ান সাদীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এখনো কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। উপরন্তু থানায় মামলা করার সপ্তাহ পার হলেও বাদী পরিবারকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিচ্ছে আসামিরা।

সন্ত্রাসী হামলার শিকার আল নাহিয়ান সাদী আফাজিয়া এলাকার আকবর হোসেন নিপুর ছেলে। সে আফাজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
রবিবার সকালে ভুক্তভোগী নাহিয়ান সাদীর মা বাদি হয়ে হাতিয়ায় থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গত শনিবার(০৫ অক্টোবর) বিকালে বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট বল খেলার সময় তার উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এর প্রতিবাদে (৬অক্টোবর) রবিবার সকালে আফাজিয়া হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা হামলা কারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মামলার বাদী আল নাহিয়ান সাদীর মা ফারজানা বেগম শাবনাজ জানান, গত শনিবার বিকেলে তালুকদারগ্রাম পুকুরের পাশে নদীর স্লোপে ক্রিকেট খেলাকালীন সময়ে পরিকল্পিতভাবে গায়ে বল পড়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সাদীকে এলোপাতাড়ি চড় থাপ্পড় দেয় এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করে হাত ভেঙ্গে নদীতে ফেলে দেয়। কয়েকজন নদীতে নেমে তাকে কিল ঘুষি মেরে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে অন্য ছেলেদের চিৎকারে আমি এবং আমার শাশুড়ি তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে এবং গালমন্দ করে। এসময় তারা আমার সাথে থাকা মোবাইল গলার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

ভুক্তভোগীর বাবা আকবর হোসেন নিপু বলেন, আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা এ হামলা করেছে, আমার স্ত্রী ঘটনায় জড়িত ১১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। এতো বড় একটা ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করে নাই। আসামিরা দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।

হাতিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, আসামি সাজু, আজিম, আশিক, মাকছুদ, বাসুসহ অন্যান্য আসামিরা হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় এজহারভুক্ত আসামি।

এলাকাবাসী জানান, তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ তাদের ভয়ে মুখ খুলতে পারেনা। দিনে দুপুরে একটা ছেলেকে মেরে ফেলতে চেয়েছে, কিন্তু এখনো প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছেনা। আসামিরা বুক ফুলিয়ে এলাকায় হেটে বেড়াচ্ছে।

হাতিয়া থানা ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, পূজার কারণে আমরা ব্যস্ত সময় পার করলেও আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *